ডাবলিনভুক্তরা ফ্রান্সে কয়েক মাস বৈধভাবে থাকতে পারবেন ও ভাতা পাবেন। অতপর সদস্য রাষ্ট্রে পাঠানো না হলে, সদস্য রাষ্ট্রের ফেরৎ নিতে রাজি হবার তারিখ হইতে হাজিরা দিলে ৬ মাস, জেলে থাকলে ১২ মাস ও পলাতক থাকলে ১৮ মাস পর কেস করতে পারবেন। হাজিরা বা স্বাক্ষর না দিলে পলাতক অর্থাৎ ১৮ মাস পর কেস করতে পারবেন। ট্রাইবুনাল করলে তার সিদ্ধান্ত দেয়ার তারিখ হইতে উপরোক্ত সময় গণনা করা হবে, অর্থাৎ কয়েক মাস পিছিয়ে যাবেন। তাই আশেপাশের দেশের ফিঙ্গার হলে ট্রাইবুনাল না করে হাজিরা দেয়াই ভাল। হাজিরা বা স্বাক্ষর না দিলে ভাতা বন্ধ।
ডাবলিনে যারা আশেপাশের দেশে ফিঙ্গার খেয়েছেন নিয়মিত স্বাক্ষর দেন। যদি আশেপাশের দেশে পাঠাইয়া দেয়ও, তারা বাংলাদেশে পাঠাবে না, তারা আপনার রাজনৈতিক আশ্রয় পরীক্ষা করবে, পাঠাইতে গেলে কমপক্ষে দেড় বছর, এর ভিতর আপনি চাইলে আবার ফ্রান্স চলে আসতে পারবেন।
তবে, যদি আশেপাশের দেশে কেস শেষ হয়ে যায় সেক্ষেত্রে সেদেশে জোড়পুর্বক পাঠালে তারা দেশে পাঠাইয়া দিতে পারে। এরকম কয়েকটা ঘটনা ঘটেছে।
ডাবলিনভুক্তদের ভাতা কন্টিনিউ করার জন্য ১৫ দিনের ভিতর এ্যাটেষ্টেশন বা রিসিপিসি জমা দিতে বলা হয়, কিছুদিন পর ভাতা বন্ধের চিঠি। নিয়মিত ডমিসিল চেক করুন ও এ্যাটেষ্টেশন বৈধ থাকতেই জমা দিন।
নিয়মিত হাজিরা দিলে বা গৃহবন্দী থাকলে বা তাদের দেয়া কেন্দ্রে গৃহবন্দী থাকলে যা ঘটতে পারে,
১/ ৬ মাসের ভিতর আপনাকে সদস্য রাষ্ট্রে না পাঠাতে পারলে অফ্প্রার ফাইল দিয়ে দিবে, অর্থাৎ রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন করতে পারবেন।
২/ আপনাকে রিটেনশন সেন্টারে ঢুকাইতে পারে।
৩/ আপনাকে সদস্য রাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য পরিবহন টিকেট ধরাইয়া দিতে পারে।
৪/ আপনাকে এয়ারপোর্ট বা অন্য কোন ষ্টেশনে নিয়া যাইতে পারে সদস্য রাষ্ট্রে নেয়ার উদ্দেশ্যে।
৫/ আপনি সদস্য রাষ্টে্ না যাইতে চাইলে আপনাকে এয়ারপোর্ট থেকেও ছেড়ে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে, ডকুমেন্ট এর ভিতর লেখা থাকতে পারে, –
ক) না যেতে চাইলে ছেড়ে দেয়া হোক। এ ক্ষেত্রে ১৮ মাস পরে কেস করতে পারবেন।
খ) ধারা ……… প্রয়োগ করা হোক। এই ক্ষেত্রে ৩৬ মাস পর্যন্ত জেল হতে পারে। এই ক্ষেত্রে উপরুক্ত শর্ত প্রয়োগ করা হলো পলাতক থাকলে ১৮ মাস ও জেলে থাকলে ১২ মাস পরে কেস পারবেন।
৬/ আপনাকে সদস্য রাষ্টে্ পাঠাইয়া দিতে পারে।
৭/ ১৮ মাস পর যাদের কেস করার অনুমতি দেয়া হচ্ছে তাদের অনেকেই কোন ভাতা পাচে্ছে না।
৮/ ৬/১২/১৮ মাসের উপরে হলে যেমন ফাইল দিতে পারে, এর নিচে হলে ট্রান্সফারও করতে পারে।
উদাহরণঃ ইতালী আপনাকে নিতে রাজী হলো ০১/০৬/২০১৯ তারিখে। আপনি হাজিরা দিলেন না। এর অর্থ আপনি পলাতক, তাই আপনাকে ট্রান্সফারের তারিখ ৬ মাসের জায়গায় ১৮ মাস বর্ধিত করা হবে। পলাতক অবস্থায় আপনি ০১/১২/২০২০ এর আগে প্রিফেকচারে গেলে আপনাকে ধইরা ইতালী পাঠাইয়া দেওয়ার আইনত অধিকার প্রিফেকচারের আছে, কিন্তু এই তারিখের পরে গেলে নাই।
সংক্ষেপেঃ পলাতক অবস্থায় সদস্য রাষ্ট্র নিতে রাজী হওয়ার তারিখ হইতে ১৮ মাসের আগে যেকোন সময় আপনাকে ওই রাষ্ট্রে পাঠাইতে পারে, ১৮ মাসের পরে আপনাকে কেস করার ফাইল দিয়া দিবে, যদিও এখন এই ১৮ মাসের আউতাভুক্ত অধিকাংশ আশ্রয়প্রার্থীকেই ভাতা দেওয়া হয় না।
যে সমস্ত প্রশ্নগুলি প্রায়ই করা হয়ঃ
আপীল না করেও থাকা যায় পলাতক হিসেবে, হাজিরা দিলে পাঠাইয়া দিতে পারে, তবে সদস্য রাষ্ট্র যেদিন থেকে নিতে রাজি হইছে সেইদিন থেকে ৬ মাসের ভিতর না পাঠাইতে পারলে আর পাঠাতে পারবে না, আপীল করলে, ট্রাইবুনালের সিদ্ধান্তের তারিখ থেকে ৬ মাস হিসেব হবে, আপনি কয়েক মাস পিছাইয়া যাবেন।
ডাবলিনভুক্তরা ফ্রান্সে কয়েক মাস বৈধভাবে থাকতে পারবেন ও ভাতা পাবেন। অতপর সদস্য রাষ্ট্রে পাঠানো না হলে, সদস্য রাষ্ট্রের ফেরৎ নিতে রাজি হবার তারিখ হইতে হাজিরা দিলে ৬ মাস, জেলে থাকলে ১২ মাস ও পলাতক থাকলে ১৮ মাস পর কেস করতে পারবেন। হাজিরা বা স্বাক্ষর না দিলে পলাতক অর্থাৎ ১৮ মাস পর কেস করতে পারবেন। ট্রাইবুনাল করলে তার সিদ্ধান্ত দেয়ার তারিখ হইতে উপরোক্ত সময় গণনা করা হবে, অর্থাৎ কয়েক মাস পিছিয়ে যাবেন। তাই আশেপাশের দেশের ফিঙ্গার হলে ট্রাইবুনাল না করে হাজিরা দেয়াই ভাল।
তবে, যাদেরকে টিকেট বা সদস্য রাষ্ট্রে পাঠানোর তারিখ দিয়ে দিয়েছে এবং সেই সাথে আপীল করার সময়, যা সাধারণত ১৫ দিন, অথবা গৃহবন্দী ও ডিটেনশনের ক্ষেত্রে ৪৮ ঘন্টা, তারা অনেক চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন।
১৫ দিনের ক্ষেত্রে ট্রাইবুনাল করলে হয়তো রিকু জাতীয় একটা কাগজ পকেটে থাকবে ও ট্রাইবুনাল রিজেক্টের পরে আপীল ও করা যায়। এ ক্ষেত্রে ৭/৮ মাস পকেটে কিছু থাকবে, নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো টাইপ। সেক্ষেত্রে, ১৮ মাস পর যদি ফাইল দেয়, কয়েক মাস পিছিয়ে যাবেন। না করলে ১৮ মাসটা শুরু হবে সদস্য রাষ্ট্রের ফেরৎ নিতে রাজি হবার তারিখ হইতে।
যাদেরকে ডিটেনশনে ঢুকানো হবে তাদেরতো আপীল করা ছাড়া উপায় নাই।
এখন সিদ্ধান্ত আপনার,
১/ পকেটে ট্রাইবুনালের রিকু ও কয়েক মাস পিছিয়ে যাওয়া ? নাকি
২/ ট্রাইবুনাল না করে ১৮ মাস পালিয়ে থেকে আবার প্রিফেকচারে যাওয়া?
অবশেষে,
যারা, বিমানে উঠতে না চায়, তাদের জন্য ভিন্ন আইন, কাউকে জেল দেয়া হয় আবার কাউকে ছেড়ে দেয়া হয়। যাদের ছেড়ে দেওয়া হয়, তাদেরকে কি পলাতক ঘোষণা করা হয় ? যদি না করা হয়, তাহলে এরা কি ১৮ মাস পর কেস করতে পারবে?
এই শেষ প্রশ্নটির উত্তর আমি জানি না।
ডাবলিন লেটেষ্টঃ
১/ ২৯/০১/২০২০ তারিখে ১৫ দিন ধরে ডাবলীনভুক্ত যে ছেলেটা ডিটেনশন সেন্টারে ছিল তাকে ০৩/০২/২০২০ তারিখে ইতালী পাঠানো হয়েছে। সে ট্রাইবুনাল করে নাই। তাকে প্রথমে একবার ডিটেনশন সেন্টারে দেয়ার পর সে বাসার ডমিসিল দিয়ে ট্রাইবুনাল করে জিতে। পরবর্তীতে প্রিফেকচার বা সরকার ট্রাইবুনালের সিদ্ধানেতর বিরুদ্ধে কুর দ্য আপেল এ আপীল করে এই বলে যে, সে দুই রকম ঠিকানা ব্যবহার করছে, একটা এজাইলের, অপরটা বাসার। আপীল কোর্ট তাকে পুনরায় ২৮ দিন ডিটেনশন দেয়। ২৮ দিন এর ভিতরই তাকে ইতালী পাঠানো হয়।
ইতালীতে এয়ারপোর্টে তার আঙ্গুলের ছাপ রেখে ২/১ ঘন্টা পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এখন চাইলে সে ইতালীতে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারে, চাইলে ফ্রান্স চলে আসতে পারে, সেক্ষেত্রে ইতালী তাকে যেদিন থেকে নিতে রাজী হইছে সেদিন থেকে ১৮ মাস পরে ফ্রান্সে কেস করতে পারবে, এবং এই ১৮ মাসের ভিতর তাকে ফ্রান্স আবার ইতালী পাঠাতে পারবে। সে চাইলে অন্য কোন দেশেও যাইতে পারে।
২/ নিয়মিত হাজিরা দিয়ে একজন ১১ মাস পর ফাইল পেয়েছে। সেও ট্রাইবুনাল করে নাই।
কর্ম এক হলেও ফল আলাদা, এটাকে ‘ভাগ্য’ বলা যায়
L’INTERRUPTION DU DÉLAI PAR L’EXERCICE DU RECOURS
ATTENTION : si le recours est exercé contre la décision de transfert ou contre la décision d’assignation à résidence, le délai de transfert de six mois est interrompu c’est à dire qu’il redémarre à zéro à la date du jugement du tribunal administratif .
Si le Tribunal administratif (TA) rejette le recours, le délai de six mois court à compter de la notification du jugement.
Si le TA annule la décision préfectorale, la loi prévoit un réexamen par le préfet et la jurisprudence prévoit deux hypothèses :
le préfet peut pendant ce nouveau délai de transfert reprendre une nouvelle décision en purgeant ce vice (notamment s’il n’a pas correctement informé la personne en demande d’asile). Un nouveau recours est alors possible et s’il est rejeté, le préfet peut exécuter la décision pendant le reliquat du délai de six mois après le premier jugement. Cependant certaines juridictions considèrent que le délai redémarre de nouveau après le deuxième jugement.
le préfet décide de délivrer une attestation de demande d’asile permettant la saisine de l’Ofpra et la procédure Dublin s’arrête.
l’appel devant la cour administrative d’appel effectué par la personne ou par le préfet n’a pas de conséquence sur le délai.
L ‘exercice du recours a donc pour une influence importante sur la durée de la procédure . Si la décision est notifiée peu après l’enregistrement, cela a peu de conséquence mais si elle l’est à quelques semaines de l’expiration des six mois après la réponse de l’État-membre il faut mieux réfléchir avant de faire le recours. Attention le recours contre la seule assignation à résidence a le même effet interruptif.